গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধ ও ইসরায়েল বাহিনী প্রত্যাহারের শর্তে হামাস তাদের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে প্রস্তুত। দলটির শীর্ষ এক নেতা দখলদার বাহিনীকে নতুন এক প্রস্তাবে এমনটা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
তিনি জানান, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠনের প্রেক্ষিতে হামাস আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। সেই আলোচনার অংশ হিসেবেই হামাস সব জিম্মিকে ছেড়ে দিতে পারে।
তিনি দাবি করেন, স্বল্পমেয়াদি যেকোনো চুক্তি নেতানিয়াহুর গণহত্যাকে আড়াল করার কৌশল হতে পারে। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব চললে হামাস প্রতিরোধ সংগ্রাম থেকে সরে আসবে না।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৩২ জন নিহত হন। শুক্রবার সকালে খান ইউনিসের একটি বাড়িতে বোমা হামলায় একটি পরিবারের ১৩ জন সদস্য নিহত হন।
অন্যদিকে যুদ্ধ বন্ধের পক্ষে এখন ইসরায়েলের ভেতরেও চাপ বাড়ছে। তবে এখনো হামাসের প্রস্তাবে আনুষ্ঠানিকভাবে সাড়া দেয়নি ইসরায়েলের সরকার।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এটি ছিল তিন পর্বের। প্রথম পর্বে ছিল যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় শুরু করা, দ্বিতীয় পর্বে ছিল জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের কাজ শেষ করা এবং গাজা থেকে ইসরায়েল সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, তৃতীয় পর্বে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন।
তবে ইসরায়েল গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরাইলের ফের শুরু করা এই হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া অভিযান শুরুর পর থেকে গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দখলদার বাহিনী।
সম্পাদক -জুয়েল রানা লিটন, অফিস : নোয়াখালী প্রেসক্লাব, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী।