সম্মেলনে বিশ্বের ৫০টি দেশের ৪১৫ জন বিদেশী প্রতিনিধি এবং ২৯৫ জন দেশীয় প্রতিনিধিসহ মোট ৭১০ জন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রায় তিন হাজার ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সেশনে অংশ নেন। সম্মেলনের প্রধান আয়োজন ছিল তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল সরেজমিন পরিদর্শনের ব্যবস্থা করে বিনিয়োগের সুযোগ ও সুবিধা সম্পর্কে ধারণা দেয়া। এ ছাড়াও বিভিন্ন খাতভিত্তিক সেশন ও প্রদর্শনী যেমন স্টার্টআপ কানেক্ট, ইয়ুথ এন্টারপ্রেনারশিপ এক্সপো, রিনিউএবল এনার্জি সেশন, ডিজিটাল ইকনোমি, টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল সেশন, হেলথকেয়ার ও ফার্মা, অ্যাগ্রো-প্রসেসিং সেশন ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এগুলোতে সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ ও বিনিয়োগকারীরা অংশ নেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস উদ্বোধনী বক্তব্যে তার সামাজিক ব্যবসার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘ব্যবসার মাধ্যমে শুধু লাভ নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করাই প্রকৃত সুখ।’ তিনি বাংলাদেশকে সামাজিক ব্যবসার জন্য উপযুক্ত স্থান হিসেবে উল্লেখ করেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং শেষ দিনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে ম্যাচমেকিং সেশন এবং সেরা বিনিয়োগ চর্চা নিয়ে গোলটেবিল অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের বিশেষ আয়োজন ছিল স্টারলিংকের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালু এবং সম্মেলনের লাইভ প্রোগ্রাম স্টারলিংকের মাধ্যমে সম্প্রচার করা। ওই দিন বিশ্বব্যাংক ও আইএলও’র সাথে কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বিশ্বজুড়ে ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে। আইটি, টেক্সটাইল, নবায়নযোগ্য শক্তি, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের ওপর আলাদা ফোকাস দেয়া হয়। এই খাতগুলোর জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা ও সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে সরকার। সম্মেলনে অংশ নেয়া দেশের তালিকায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ভারত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া প্রভৃতি। মোট ৪৭টি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি ছিল সরকারি সংস্থা এবং ২৫টি ছিল বেসরকারি খাতের। বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী মিডিয়া যেমন ব্লুমবার্গ, সিএনবিসি ও আলজাজিরা সম্মেলন কভার করে। এতে করে ‘বাংলাদেশের পরবর্তী বিনিয়োগ ফ্রন্টিয়ার’ স্লোগানটি বেশ আলোচিত হয় এবং বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক দু’টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণসহ স্বাস্থ্য খাতে শত মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে পৃথক দু’টি সমঝোতাস্মারক সই করে।
সম্মেলনে মোট ১২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে খাতভিত্তিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল মার্কিন ডলারের নবায়নযোগ্য শক্তি ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন, অবকাঠামো ও নির্মাণ ২ বিলিয়ন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন, টেক্সটাইল ও পোশাক ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন, স্বাস্থ্য ও মেডিক্যাল দশমিক ৯ বিলিয়ন এবং অন্যান্য দশমিক ৭ বিলিয়ন। বিনিয়োগ সম্মেলনে প্রাথমিকভাবে তিন হাজার ১০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। আরো বিনিয়োগ প্রস্তাব পাইপলাইনে আছে। এ ছাড়াও চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী আগামী মাসে ২০০ বিনিয়োগকারীসহ বাংলাদেশ সফরের ঘোষণা দেন। চীনা কোম্পানিগুলো ইলেকট্রিক যানবাহন, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, উইন্ড টারবাইন এবং অফশোর সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ছাড়া ডিপি ওয়ার্ল্ড গ্রুপ মাতারবাড়ীতে মুক্তবাণিজ্য অঞ্চল স্থাপনে আগ্রহ দেখায়।
এ বিনিয়োগ সম্মেলনে খরচ হয়েছে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকারের মোট ব্যয় হয়েছে দেড় কোটি টাকা। বাকি সাড়ে তিন কোটি টাকা এতে পার্টনার হিসেবে যারা অংশ নিয়েছেন তারা ব্যয় করেছেন।
সফলতার পথে সম্ভাবনা
এবারের বিনিয়োগ সম্মেলন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বৃহৎ জনসংখ্যা ও ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফলে বাজার সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে। ইইউ ও অন্যান্য বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার বিনিয়োগে সুবিধা এনে দেয়। তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের বিনিয়োগ ক্ষেত্রকে আরো গতিশীল করছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনের জন্য সুশাসন, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বাস্তবায়নে গতিশীলতা আনতে পারলে এই সম্মেলন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী অধ্যায় হয়ে থাকবে।
প্রফেসর ইউনূসের সামাজিক ব্যবসার সাফল্য ও প্রভাব এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কারণে তার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বিনিয়োগ সম্মেলন বিশ্বব্যাপী সামাজিক ব্যবসার ধারণাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এই বিনিয়োগ সামিটে বাংলাদেশ আরো মার্কিন বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে এবং দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বনেতারা দেশের সংস্কার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
দেশী-বিদেশী অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ, বিনিয়োগ বিশ্লেষক ও প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা এই সামিটের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। অর্থ উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ সালেহউদ্দিন বলেন, ‘বিনিয়োগ সম্মেলন আমাদের দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাগুলো বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করেছে। বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।’
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ, যেমন হ্যান্স ভন ডার ব্রুক, বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্রুত উন্নয়ন ও শ্রমবাজারের শক্তি বিদেশী বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই সম্মেলন আন্তর্জাতিকভাবে সেই বাস্তবতা তুলে ধরেছে।’ মার্ক টমসন বলেন, “বাংলাদেশ এখন আর ‘উদীয়মান বাজার’ নয়, বরং ‘অগ্রসর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। সামিটে যে দৃষ্টিভঙ্গি ও পরিকল্পনা দেখেছি, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’’ ইনভেস্টমেন্ট কনসালটিং এশিয়ার সিনিয়র উপদেষ্টা, জুলি মাকার্থি বলেন, ‘বাংলাদেশ যে পরিকাঠামো উন্নয়ন, প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব শিল্পের ওপর জোর দিচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়িয়েছে।’
বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতা
অভিজ্ঞতা বলে, অনেকসময় প্রতিশ্রুত বিনিয়োগ আসে না। ২০১৮-২০২৩ সালের মধ্যে বিনিয়োগ সামিটে প্রতিশ্রুত বিনিয়োগের মাত্র ৩৫ ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে বিশ্বব্যাংকের ব্যবসা করার সম্ভাবনা জরিপে বাংলাদেশ ২০২০ সালে ১৬৮তম স্থানে ছিল। যদিও সাম্প্রতিক সংস্কারে কিছু অগ্রগতি হয়েছে, তবে এখনো কর নীতিমালা, লাইসেন্স প্রক্রিয়া ও জমির অনুমোদনে বিলম্ব বিদ্যমান। সুশাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনিয়োগের অন্যতম শর্ত হওয়ায় এটি একটি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশে এখনো অনেক ক্ষেত্রে অনুমোদন পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়হীনতা বিনিয়োগকারীদের হতাশ করে। অপর্যাপ্ত অবকাঠামো অনেক ক্ষেত্রে বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৫ হাজার মেগাওয়াট, তবে চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিতরণ ও সংযোগ এখনো চ্যালেঞ্জপূর্ণ। বিশেষ করে অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের সীমাবদ্ধতা বিনিয়োগ বাস্তবায়নে অন্তরায়। বিনিয়োগসংক্রান্ত নীতিমালায় হঠাৎ পরিবর্তন বা অস্পষ্টতা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিনিয়োগকারীরা একাধিক ক্ষেত্রে দুর্নীতির মুখোমুখি হন, যা তাদের আস্থা নষ্ট করে। প্রযুক্তিনির্ভর ও জ্ঞাননির্ভর খাতে দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
আসছে নির্বাচনের পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থা ও নীতিনির্ধারকদের অস্থিতিশীল অবস্থান নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে কিছুটা উদ্বেগ ছিল, যা সম্মেলনের সম্ভাবনায় কিছুটা প্রভাব ফেলে। সম্মেলনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাফল্য এসেছে, যা বাস্তবায়নের ধাপে পৌঁছাতে পারলে এই উদ্যোগের সুফল দীর্ঘস্থায়ী হবে।
বিনিয়োগ সামিটের সুপারিশ
এ সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য এক বড় সুযোগ তৈরি করেছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে সম্মেলন কিছু সুপারিশ গ্রহণ করে। এর অন্যতম হলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও রোডম্যাপ তৈরি করা অর্থাৎ প্রতিটি বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য নির্ধারিত সময়সূচি ও পর্যবেক্ষণ কাঠামো থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়াও শিল্পাঞ্চল, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বন্দর এলাকায় দ্রুত উন্নয়ন; আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হ্রাস ও ডিজিটালাইজেশনের জন্য সব ব্যবসায়িক লাইসেন্স ও অনুমতির প্রক্রিয়া ডিজিটাল করা; টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমিক গড়ে তোলা; ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হ্রাসে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, দক্ষ জনশক্তি গঠনে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও প্রযুক্তি খাতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সর্বোপরি বিনিয়োগকারীদের ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও সহজীকরণ করার সুপারিশ গ্রহণ করা হয়।
সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫ যে সুপারিশগুলো গ্রহণ করেছে সেগুলো ছিল করব্যবস্থা সহজীকরণ ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি। কাস্টম কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনা এবং অনানুষ্ঠানিক লেনদেন বন্ধ করা; কর অবকাশ সুবিধা প্রদান, বিশেষ করে পর্যটন ও বস্ত্র খাতে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ; জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাতার ও সৌদি আরবের সাথে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি; ভারত, নেপাল ও ভুটানের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস ব্যবহারে উদ্যোগ গ্রহণ; ভোলার গ্যাস মূল ভূখণ্ডে আনা; ডিজিটাল পণ্য উৎপাদনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি; ইন্টারনেট খরচ কমানো এবং ডিজিটাল ডিভাইসের বিশ্ববাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা; জমির রেকর্ড ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ; তৈরী পোশাক ছাড়াও অন্যান্য খাতে শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির জন্য বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা; জাতীয় লজিস্টিক নীতি দ্রুত বাস্তবায়ন এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান ও উচ্চমূল্যের পণ্য উৎপাদনে সক্ষমতা বৃদ্ধি।
এ ছাড়াও ছোট কোম্পানিগুলোর জন্য পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ সৃষ্টি; সরকারের ব্যাংক ঋণ গ্রহণে সীমা নির্ধারণ; অবকাঠামো উন্নয়নে পুঁজিবাজার থেকে অর্থায়নের উদ্যোগ; দীর্ঘমেয়াদি নীতি প্রণয়ন এবং বেসরকারি খাতের মতামত গ্রহণ; নীতিনির্ধারণে বেসরকারি সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি করার সুপারিশ করা হয়। ১০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন এবং সার্বিকভাবে বিদেশী বিনিয়োগবান্ধব সব নীতি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়। তরুণ ও প্রশিক্ষণযোগ্য জনশক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগে অবদান বৃদ্ধি; ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং আইসিটি খাতে রফতানি আয় বৃদ্ধির সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বিদ্যমান অন্তরায়গুলো দূর করা গেলে এই সম্মেলন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
লেখক : অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট