বাসিন্দাদের অভিযোগ, নোয়াখালী পৌরসভার ড্রেনগুলো এবং খালগুলোর মধ্যে ময়লা আবর্জনা জমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার রাত থেকে নোয়াখালীতে ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয় জানিয়ে জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটা ছিল দেশের সব্বোর্চ্চ বৃষ্টিপাত।”
মাইজদী শহরের জিহাদ স্টোরের সত্ত্বাধিকারী জিহাদ হোসেন বলেন, “শহরের প্রত্যেকটি ড্রেন ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ হয়ে আছে। এছাড়া খালগুলো দখল এবং ময়লা আবর্জনা ফেলে মৃতপ্রায় অবস্থা হয়ে আছে। ফলে বৃষ্টি হলেই শহর ডুবে যাচ্ছে। ”
ডিশ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “বর্ষার আগেই জেলা প্রশাসন এবং নোয়াখালী পৌরসভা শহরের ড্রন এবং খালগুলো পরিস্কার না করলে সামনে আমাদেরকে বড় ধরণের দুর্ভোগ পোহাতে হবে। গত বছরের মতো এবারও দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতার ভোগান্তিতে পড়তে হবে। ”
এদিকে ভারি বর্ষণে নোয়াখালীর সদর উপজেলা, বেগমগঞ্জ, সুবর্ণচর ও কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকা বোরো ধানের জমিতেও পানি জমে গেছে। এতে পাকা ধান কাটা, মাড়াই দেওয়া ও ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
অনেক জায়গায় বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে পাকা এবং আধাপাকা বোরো ধান হেলে পড়েছে। কোথাও কোথাও জমিতে কেটে রাখা ধান পানির কারণে মাড়াই দেওয়া যাচ্ছে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মীরা রানী দাস বলেন, নোয়াখালীতে এরমধ্যেই প্রায় ৪০ ভাগ জমির পাকা ধান কাটা হয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে বেশিরভাগ ধান কাটা হয়ে যাবে।
“সামনে বৃষ্টির মৌসুম থাকায় কৃষকদেরকে দ্রুত পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার জন্যও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক বলেন, গত বছর নোয়াখালীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পরই স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ণের কাজ শুরু হয়েছে।
“এর মধ্যেই পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বর্ষা শুরুর আগেই খাল-নালাগুলো অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনঃখনন-পরিষ্কার করা হবে’- বলে জানান তিনি।