নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতাকর্মি জানান, বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মিদের দমন নিপীড়নে সহযোগিতা ছিল টুটুলের। সরকার পতনের পর এই ব্যক্তি কিভাবে নিজেকে বিএনপি’র লোক দাবি করে এবং কিভাবে জিয়া মঞ্চের মত সংগঠনের সভাপতি হয় তা বোধগম্য নয় ।
জানতে চাইলে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জামসেদুল ইসলাম টুটুল বলেন, সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী আমাকে জোর করে পদ দিয়েছে। আমি পদ প্রত্যাখান করে এলাকা থেকে বেরিয়ে গেছি। তিন বছর এলাকায় থাকতে পারেনি। রক্তাক্ত অবস্থায় আওয়ামী লীগ আমাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে। ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত আমি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। জাতীয় নির্বাচনের সময় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী নলের চর ও আলী বাজারের আমার দুটি দোকান বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে সর্বশেষ আমি তার বাসায় যাওয়া লাগছে। বাসায় যাওয়ার পরে ১৮ এর নির্বাচনের সময় আমি তাদের সাথে ছিলাম। এটা সত্য, এরপর আমি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছি।
তিনি আরো বলেন, আমাকে আমার অনুমতি ছাড়া হাতে লিখিত একটি কাগজের মাধ্যমে নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিতে আমাকে সাধারণ সম্পাদক রাখছে। তৎকালীন সময়ে আমি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করি। পদত্যাগ করার পরে আমি এলাকায় থাকতে পারিনি। এরপর আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হলে আমি এলাকা থেকে চলে যাই। এটা আমার এলাকার সবাই জানে। আমার ফেসবুক পোষ্ট থেকে সব প্রমাণ আছে আমার অসম্মতিতে আমাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ হরণী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। পরে আমি লিখিতভাবে তা প্রত্যাখান করেছি। আমি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। তৎকালীন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে।
হাতিয়া উপজেলা জিয়া মঞ্চের শাখার সাধারণ সম্পাদক রিপন চন্দ্র দাস বলেন, টুটুলকে ২০১৭ সালের দিকে হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি করা হয়। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। বিষয়টি জানার পর ওই কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে ২০১৮ সাল থেকে টুটুল আমাদের সাথে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকান্ডে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিল।
যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালী জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মো:মনির হোসেন বলেন, টুটুল এক সময় ছাত্রদল করত। ২০২০ সালের পর থেকে তিনি ফেসবুকে সরকার বিরোধী ব্যাপক পোষ্ট করেন। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর পুরো কমিটি বাতিল করা হয়েছে।