নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধকে প্রকাশ্যে মারধর ও জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব আজাদ মোল্লার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী চার সন্তানের জনক জহির আলম জানান, “এই বৃদ্ধ বয়সে এসে মার খেতে হলো, মাফ চাইতেও বাধ্য করল, আবার জমির দখলও হারালাম।”
জহির আলম আরো জানান, মাইজচর এলাকায় তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ২ একর ৯০ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগদখলে ছিলেন। একসময় ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ মায়া বর্গা দেওয়ার নাম করে ওই জমি নিজের দখলে নিয়ে নেন। এরপর ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আজাদ মোল্লা জমির সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তার নম্বর ব্লক করে দেন।
বৃদ্ধ জহির আলম বলেন , “একবার আমাকে মারলেও আমি ভিডিও ধারণ করতে পারিনি। পরে দ্বিতীয়বার যখন তিনি আবার মারধর করেন, তখন আমি মোবাইলে ভিডিও চালু রেখে পকেটে রাখি। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর, গত ১৭ এপ্রিল আজাদ মোল্লার নেতৃত্বে একটি দল আনন্দবাজার এলাকায় জহির আলমকে ডেকে নিয়ে ঘিরে ফেলে এবং ক্ষমা চাইতে বাধ্য করে। জহির আলম বলেন, “তারা আমাকে বলে, ক্ষমা না চাইলে তুলে নিয়ে যাবে। আমি বাধ্য হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাই।”
অভিযুক্ত যুবদল নেতা আজাদ মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “চড় দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আনন্দবাজারে বসে স্থানীয়ভাবে সমাধান হয়েছে। আরও জানতে হলে আপনাকে এলাকায় আসতে হবে, সামনাসামনি সবকিছু বলা যাবে।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।