শিরোনাম:
প্রতিবেশীর ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রবাসীর মৃত্যু বিষাক্ত ধাতু মুক্ত হচ্ছে, ভবিষ্যতের জন্য নতুন হুমকি নোবিপ্রবির মেগা প্রকল্প সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চায় শিক্ষার্থীরা ৮ দফা দাবিতে নোয়াখালীতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে এটিআই শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি ব্যবসায়ীকে গুলি করে মোটরসাইকেল ছিনতাই দুর্বৃত্তের দেয়া আগুনে দুটি বাস পুড়ে চাই। ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে চোর সন্দেহে দিনমজুরকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ১ নোবিপ্রবির তৃতীয় একাডেমিক ভবনসহ ৩৩৪ কোটি  ৪৬ লক্ষ টাকার প্রকল্প একনেকে পাশ গ্লোবাল লিডার ইন এক্সপোর্ট অ্যাওয়ার্ডে সম্মানিত মওদুদ এলাহী হাতিয়ায় খালেদা জিয়া’র রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

লাইফের যেসব পার্ট কখনো বলতে চাইনি> পর্ব-১

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

————-ইমরান হোসাইন  তুহিন
আমি ইমরান হোসাইন ডাকনাম তুহিন। ক্লাস নাইন থেকেই রাজনৈতিক সচেতন ছেলে হিসেবে নিজেকে সামনের দিকে অগ্রসর হই।  মনে আছে যখন দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি-জামায়াত। আমরা স্থানীয়ভাবে সবাই একত্রিত হয়ে দুটা প্রতিষ্ঠান নিজেরা ঘন্টা বাজিয়ে ছুটি দিয়া দিই। হামদর্দ মাদ্রাসায় কিছু আবাসিক ছাত্র ছিল। তাদের নিয়া সকাল বেলা স্থানীয় বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে ফিকেটিং করি। রাতের বেলা মিস্ত্রিসহ সরকারি গাছ কেটে হরতাল পালন করি। এলাকায় এটাই ছিল প্রথম এবং শেষ অবরোধ কর্মসূচি। ২০১৩ সালে মার্চ ফর ডেমোক্রেসি পালনের উদ্দেশে ঢাকায় যাই। পল্টনে ভাইয়ার বাসায় উঠি। রাতের বেলা পুলিশ তল্লাসি করতে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছোট দেখে আর নেয়নি। পরেরদিন সকালে ভাইয়া তার অফিসে নিয়া বসায় রাখছিল। আমাকে আর রাজপথে নামতে দেয়নি। যদিও আমাকে আমার প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল ফোন দিয়ে না নামতে বলেছিলেন। এরমাঝে বড় একটি ঘটনা ঘটে। জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় পোড়ানো হয়। সেখানে আমরাই নেতৃত্ব দিই। যদিও সে প্রোগ্রামে অনেক আন্দোলনকারী শিবির-বিএনপি আহত হোন। ২২/২৩ কিলো দুর থেকে এসে ওই বয়সে এসব করতাম।
এরপর ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে গ্রাম ছেড়ে মাইজদি আসি। মেসে থাকি আর লজিং,টিউশন করানো শুরু করি। ১৪-১৬। হঠাৎ চারদিকে জঙ্গী নাম দিয়ে ষাঁড়াশি অভিযান শুরু হলো। অভিযান হলো রাতের একটায় আমার মেসে। ভাগ্যক্রমে আমি পালিয়ে যেতে সক্ষম হই। পরে আমার রুমমেট, মেস মালিককে নিয়ে যায়। শর্ত দেওয়া হয় আমাকে হাজির করাতে। আমি নাকি মোস্ট ওয়ান্টেড। কারণ আমার ব্যক্তিগত একটা ডায়েরি ছিল। যেখানে আমি লীগের বিরুদ্ধে সব ধরণের আন্দোলনের বিষয়গুলো লিপিবদ্ধ করতাম। সেটা দেখে তারা আমাকে বিগ ফিশ মনে করা শুরু করল। এবং রুম থেকে আমার ছবি, একটা মার্কশিট নিয়ে গেছিল। এ ঘটনার পর আমি মাইজদি ছেড়ে দিই ২ মাসের মত। এলাকায় যাওয়ার পর বাবা আমাকে নানা বাড়ি গিয়ে থাকতে বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বন্ধুদের আমাকে এড়িয়ে চলতে বললেন। একবন্ধু ফেসবুকে একটা ছবি পোস্ট করে আবার ডিলেট দিতে বাধ্য হলেন। এভাবে দুমাস কাটিয়ে দিই। পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হলে অন্যত্র মেস নিই। ইন্টারমিডিয়েট দিয়ে কোচিং শুরু করি। বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাই। এদিকে বিয়েটাও গোপনে করে ফেলি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ