• রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন

নদীভাঙন রোধে কাফনের কাপড় পরে মানববন্ধন

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

 

নোয়াখালী>

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর রেগুলেটর পুনঃনির্মাণের দাবিতে ফেনীর সোনাগাজীর  ছোট ফেনী নদীর ওপর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৩ বোল্টের রেগুলটর পানির তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর পুনঃনির্মাণের দাবীতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব ফখরুল ইসলামের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসীরা।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টার সময় জনতা বাজার সংলগ্ন মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।  মানববন্ধন অনুষ্ঠানে যুবদল নেতা হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য মো. আলমগীর মিয়ার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন,উপজেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্মাণের সময় ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম করার কারেন নির্মানের মাত্র ৯ বছরের মাথায় প্রকল্পটি পানির নিচে তলিয়ে যায়।
বারবার স্থানীয় জনগনের সমালোচনার মুখে তৎকালীন স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে রেগুলেটরটি নির্মাণ করা হয়।
এসময় নোয়াখালী-৫ আসনে বিএনপি সম্ভাব্য প্রার্থী আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম বলেন, সোনাগাজী উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এবং নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সীমানায় ছোট ফেনী নদীর ওপর ২০০৫ থেকে ২০০৯ সালে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ ভোল্টের রেগুলেটরটি নির্মান করা হয়। ফেনী ও নোয়াখালী এলাকার চরাঞ্চলের ১ দশমিক ৩০ লক্ষ হেক্টর জমির ফসলকে লবনাক্ততা থেকে সুরক্ষা এবং জোয়ারের পানি থেকে এ সমস্ত এলাকাকে সুরক্ষার জন্য জনগনের দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে মুছাপুর ২৩ দরজা বিশিষ্ঠ রেগুলেটরটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
সাম্প্রতি উজানের পানির ঢলে চাপে থাকায় গত ২৬ শে আগষ্ট সকালে রেগুলেটরটি ভেঙ্গে গিয়ে স্থানীয় জনগনের মাঝে উজানের পানি নিয়ে উৎকন্ঠা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।  বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম বলেন,মুছাপুর রেগুলেটর বিলীন হওয়ায় শত শত বাড়িঘর নদীতে তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত হেক্টর ফসলি জমি। রেগুলেটর বিলীনের জন্য অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে দায়ী করে বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মির্জার শাস্তি দাবি করেন। নদী তীরবর্তী মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। এমতাবস্থায় সুপরিকল্পিত তড়িৎ পদক্ষেপ না নিলে আরও বহু মানুষ সহায়সম্পদ ও জীবন হারাবে বলে আশঙ্কা করি। এসময় বিএনপি নেতা ফখরুল আরও বলেন, তিনি বলেন, ২০০৫ সালে এই ক্লোজার ও ২৩ ভেন্ট রেগুলেটর নির্মাণ করা হয়। কিছু অসাধু লোকের বালু উত্তোলনের কারণে এর নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ক্লোজার দুর্বল হয়েছে বলে মনে করি। বালু দুর্বৃত্তদের অধিক লোভে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা পানিতে তলিয়ে গেলো। ক্লোজার পুনঃনির্মাণের ক্ষেত্রে বালু উত্তোলনের বিষয়েও কঠোর নির্দেশনা থাকা জরুরি।  এছাড়াও নদী তীরবর্তী মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। এমতাবস্থায় সুপরিকল্পিত তড়িৎ পদক্ষেপ না নিলে আরও বহু মানুষ সহায়সম্পদ ও জীবন হারাবে বলে আশঙ্কা করি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক আনিছুল হক, সদস্য আফতাব আহমেদ বাচ্চু, একরামুল হক মিলন মেম্বার, মাস্টার আবু নাছের, ফেনী জেলা কৃষক দলের সেক্রেটারি খোকন চেয়ারম্যান, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম চেয়ারম্যান, নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা অংশগ্রহণ করে।
ট্যাগঃ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ
No comments to show.