নোবিপ্রবি>
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন, বাংলাদেশের বিশ^বিদ্যালয়সমূহের উচ্চশিক্ষায় প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের দ্বার উম্মোচন করে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যে বাংলাদেশ আজ ২.০ তে দাঁড়িয়ে, এটাই এই সময়ের এখন সবচেয়ে বড় করণীয় কাজ। সর্বাগ্রে কাঙ্খিত দাবি। তুরষ্কে ইস্তাম্বুলে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের আজ প্রথম দিন শনিবার (১৯ এপ্রিল ২০২৫) অংশ নিয়ে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতাবৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন নতুন টেকনোলজি নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হবে।
‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন বাংলাদেশ স্টাডিজ’ বিষয়কে প্রতিপাদ্য করে প্রথমবারের মতো তুরষ্কের তিজারেত বিশ^বিদ্যালয়ে দু’দিনব্যাপী (১৯-২০ এপ্রিল) ওই কনফারেন্সের আয়োজন করে। কনফারেন্সের অনারারি চেয়ার ছিলেন ওই বিশ^বিদ্যালয়ের রেক্টর অধ্যাপক ড. নিজুব শিমসেখ।
কনফারেন্সে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তি স্থানান্তর, উদ্ভাবনী হাব তৈরিসহ সৃজনশীল মনোজগত গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য প্রদান করেন নোবিপ্রবি ভিসি। এছাড়াও তিনি তার বক্তব্যে প্রযুক্তির টেকসই উন্নয়ন, উচ্চশিক্ষায়-রিসার্চ ট্রান্সফরমেশন টু মার্কেট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডাটা সায়েন্স নিয়ে গুরত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন। ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে পরিবর্তন আনতে হবে। বাংলাদেশ পুনর্গঠন করে আমাদেরকে ভবিষ্যতের সুন্দর একটি দেশ গড়ে তুলতে হবে।
উক্ত কনফারেন্সে বাংলাদেশ ও তুরষ্কের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, আমলা ও রাজনীতিবিদগণ অংশ নেয়। তন্মধ্যে, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান, আঙ্কারা ইয়েলদেরেম বায়েজিদ বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক, প্রাক্তন এমপি ও রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইয়াসিন আকতাই, তুরষ্কে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত এম. আমানুল হক ও ইস্তাম্বুল ডেপুটি/রি-প্রোসপারিটি পার্টির দোগান বিকিন প্রাণিধানযোগ্য।