• শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

আগামী নির্বাচনে জোট নিয়ে জামায়াতের অবস্থান কী, যা জানা গেল

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শাসনের শেষদিকে কোণঠাসা জামায়াত অন্য ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে একটা সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর তাদের সেই চেষ্টা প্রকাশ্যে এসেছে।

কারণ অন্য দল, বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক ও ধর্মীয় নেতা বা পিরদের নেতৃত্বাধীন দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে জামায়াতের সম্পর্কের দূরত্ব ছিল।

জামায়াতের এই দূরত্ব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় উল্লেখ করা যেতে পারে যে, দলটির আমির শফিকুর রহমান গত ২১শে জানুয়ারি বরিশালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমমোনাই পির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করেন। সেদিন ইসলামি আন্দোলনের নেতার মধ্যাহ্ণভোজেও অংশ নেন জামায়াতের আমির।

দল দুটির শীর্ষ দুই নেতা বরিশালে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন। সেদিনই তারা সাংবাদিকদকদের বলেছিলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে ইসলামি দলগুলো ‘একবাক্সে ভোট আনার’ চেষ্টা চালাচ্ছে।

এরপর জামায়াত নেতারা ঐক্যের ব্যপারে কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক বিভিন্ন দলের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।

তবে ঐক্যের ব্যাপারে দলটির অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে বলে অন্য ইসলামি দলগুলোর নেতারা মনে করছেন। কারণ এখন ঐক্য তৈরি প্রক্রিয়ায় জামায়াত অংশ নিচ্ছে না।

জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেছেন,‘ইসলামী আন্দোলনসহ অন্য দলগুলোর ঐক্য বা জোট করার চেষ্টাকে আমরা সম্মান করি।’

কিন্তু ওই জোট থাকা না থাকার প্রশ্নে স্পষ্ট কোনো জবাব দেননি জামায়াত আমির।

তিনি উল্লেখ করেন, রাজনীতিতেই নানা মেরুকরণ হচ্ছে। নির্বাচন এগিয়ে এলে আরও মেরুকরণ হবে। ফলে আরও পরে দলগুলোর অবস্থান স্পষ্ট হবে।

দলটির অন্য একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, কোনো জোটে না গিয়ে জামায়াত স্বতন্ত্র অবস্থানে থেকে দলগতভাবে নির্বাচন করতে চায়। এবার জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসার চিন্তা তাদের মধ্যে রয়েছে।

সেজন্য কোনো জোটে না গিয়ে নির্বাচনে এককভাবে প্রার্থী দেওয়ার চিন্তা জামায়াতের ভেতরে আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে।

একইসঙ্গে ইসলামপন্থিসহ বিভিন্ন দলকে কাছে রেখে নিজেদের একটা বলয় তৈরির চিন্তা নিয়েও এগোচ্ছে দলটি। আর এমন চিন্তার ক্ষেত্রে জামায়াত গণঅভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে।

ইসলামপন্থি দলগুলোর রাজনীতির পর্যবেক্ষকেরা জামায়াতের অবস্থানকে দেখছেন ভিন্নভাবে।

তারা বলছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এখন রাজনীতির মাঠে নেই। এই দলটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ না পেলে বা ভোটে অংশ না নিলে বিএনপি ও জামায়াতের জোট করার প্রয়োজন হবে না। কারণ আওয়ামী লীগের বিরোধিতা থেকেই তারা অতীতে নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়েছে।

এখন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা বিবেচনায় রেখেই জামায়াত কোনো জোটে না যাওয়ার বিষয় চিন্তা করছে। এসব চিন্তা থাকলেও এখনো অবস্থান পরিষ্কার করেনি দলটি। ফলে জামায়াতের অবস্থান নিয়ে ইসলামপন্থি অন্য দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

আর এমন প্রেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোলনসহ পাঁচটি দল তাদের ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার তৎপরতা চালাচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ