প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

গত ২৬ সেপ্টেম্বর  একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত “নোয়াখালী কারাগার যেন একরামের রাজপ্রাসাদ” নিম্ন স্বাক্ষরকারীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে।উক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন কিছু স্বার্থনেসী মহলের চক্রান্তে কারাপ্রশাসনকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে সংবাদটি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকাশিত সংবাদে তিনি উল্লেখ করেছেন জেল সুপার শ্রেণীপ্রাপ্ত একরাম চৌধুরীর অর্থে তার স্ত্রীর সাথে সিঙ্গাপুরে বেড়াতে গিয়েছেন। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মূলতঃ আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী সরকারী সফরে “International Correctional Leadership Programme” প্রশিক্ষনের জন্য ২১/০৯/২০২৫ হতে ২৬/০৯/২০২৫ তারিখ পর্যন্ত সিঙ্গাপুর অবস্থান করছিলাম। জেল সুপারের সফর সঙ্গী হিসেবে এ প্রশিক্ষণে আরও সরকারী উঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিল। আমি সিঙ্গাপুর একা অবস্থান করছিলাম আমার সাথে পরিবারের কেউ ছিল না। কারাগারের ভিতরে ডিভিশন ওয়ার্ড তো দূরের কথা এমনকি কারাগারে কোথাও কোন এসি নেই।

 

উক্ত শ্রেণীপ্রাপ্ত বন্দিকে কারা বিধি মোতাবেক দেখা সাক্ষাত করানো হয়েছে। তাকে আইন বর্হিভূত ভাবে কোন দেখা-সাক্ষাত করানো হয়নি। বিজ্ঞ আদালতে হাজিরার জন্য বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জ হতে গত-২৯/০৭/২০২৫ তারিখে তিনি অত্র কারাগারে আগমনের পর গত- ২৩/০৮/২০২৫ তারিখে শুধু মাত্র একবারই তার পরিবারের সাথে কারা বিধি মোতাবেক সাক্ষাত করেছিলেন। অদ্যবধি তার আর কোন সাক্ষাতও হয়নি। গত কোরবানি ঈদে একরাম চৌধুরী কোন গরু ও টাকা পয়সা বন্দি/স্টাফদের জন্য প্রদান করেন নাই। বাহিরের রান্না করা খাবার/শুকনা খাবার কারাগারের ভিতরে প্রবেশ করার কোন প্রশ্নই উঠেনা এবং এর কোন সুযোগও নেই। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে একরাম চৌধুরীকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তাকে কখনও কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়নি। বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জে প্রেরন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতে স্ব-শরীরে তাকে হাজিরার নির্দেশনা থাকায় বন্দি একরাম চৌধুরী নোয়াখালী জেলা কারাগারে আগমন করেন একং বর্তমান মাসে তার বিজ্ঞ আদালতে বিভিন্ন মামলায় ০৩ টি হাজিরা ছিল। আদালতের একাধিক মামলায় হাজিরার কার্যক্রম শেষে তাকে পুনরায় বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জে প্রেরণ করার জন্য পুলিশ স্কট প্রদান করা হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেশকে অস্থিতিশীল ও দেশের মধ্যে পরিকল্পিত ভাবে অরাজকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী মামলায় সারা দেশ থেকে যে সমস্ত হাই প্রোফাইল বন্দিরা কারাগারে এসেছেন তাদের জন্য কেরানীগঞ্জে বিশেষ কেন্দ্রীয় কারাগার চালু করা হয়েছে। উক্ত কারাগার থেকে তারা (হাইপ্রোফাইল বন্দিরা) মূলতঃ এসে বিজ্ঞ স্থানীয় আদালতে হাজিরা দিয়ে থাকেন এবং হাজিরার কার্যক্রম শেষে তাদেরকে পূনরায় বিশেষ কারাগার ফেরত পাঠানো হয়।

 

নোয়াখালী জেলা কারাগার একটি জরাজীর্ণ ও জলমগ্ন কারাগার। সামান্য বৃষ্টিতেই ডিভিশন ওয়ার্ডে পানি প্রবেশ করে। কারাগারের প্রতিটি ভবন ডিভিশন ভবনসহ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ। উর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষ সহ স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় যুগ্ম সচিব মহোদয় সাম্প্রতিক কারাগার পরিদর্শনে এসে বিষয়টি অবগত হয়েছেন। এই ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ কারাগারে আয়েশি-জীবন যাপন করার কোন সুযোগ নেই।

 

উক্ত প্রকাশিত সংবাদে জেলারের নাম ও তার কর্মকালের তথ্য তাকে জিজ্ঞাসা না করে বিভ্রান্তিমূলক ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। সঠিকভাবে তাকে জিজ্ঞাসা করে প্রকাশ করা হয়নি। কারা প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে এমন কোন স্বার্থনেষী মহল দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এবং হীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মনগড়া মিথ্যা সংবাদটি পরিবেশন করে নোয়াখালী জেলা কারাগারে ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন করা হয়েছে। পুরো সংবাদটি মূলতঃ তথ্যগতভাবে ভুলে ভরা, মনগড়া, মিথ্যা, বানোয়াট একং ভিত্তিহীন।
উক্ত মিথ্যা প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

আঃ বারেক

জেল সুপার

নোয়াখালী জেলা কারাগার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ